প্রতিষ্ঠার পর হতেই গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজটি সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে অবিরাম। একসময়ের উচ্চশিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপীঠ হলেও বর্তমানে উপজেলার একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও কলেজটি স্ব-মহিমায় সমুজ্জ্বল রয়েছে। কলেজটিতে রয়েছে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, রয়েছে বঙ্গবন্ধু বয় হোস্টেল। অতিসম্প্রতি বাংলা, ইংলিশ, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক, সহকারি অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকসহ মোট আটটি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে এবং উক্ত পদ সমূহে ইতোমধ্যে পদায়ন করা হয়েছে এবং নতুন শিক্ষকগণ যোগদান করেছেন।
২০১২ সালে নাটোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কতিপয় বিষয়ে সম্মান কোর্স চালুর প্রতিশ্রুত ওয়াদা পূরণার্থে অত্র কলেজটিতে ২০১২ সাল হতে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু হয়েছে এবং ২০১৩ সালে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু হয়েছে।বিষয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্র্তিও হয়েছে।
কলেজটি অনার্স কলেজে উন্নীত হওয়ায় একাদশ ও ডিগ্রী পাস কোর্সে ভর্তির হার পূর্বের বছরের তুলনায় আরোও বৃদ্ধি পেয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী পাস পরীক্ষায় অধীকতর ভাল ফলাফল করছে। বর্তমানে অত্র কলেজের আর একটি বড় সফলতা হলো ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২০১১-১২।
সারাদেশের অন্যকোন কলেজে যেখানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব হয়নি সেখানে কোনরকম বিসৃংখলা ব্যতিরেকেই সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের অ-কৃত্তিম সহযোগীতায় সু-সৃংখল প্রক্রিয়ায় ও শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক কলেজ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিষ্ঠরু থাবায় জর্জরিত অথচ অত্র কলেজের সু-সৃংখল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও সৌহার্দপূর্ণ ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের কারনে এই প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বিরাজ করছে । উপরোক্ত সকল বিষয়ে বর্তমান সরকার ও সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সকল স্তরের শিক্ষার্থী কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।